হবিগঞ্জের তরুণ বিজ্ঞানীর উদ্ভাবনীশক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানি……!

ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ জনাব, মোঃ মোশাররফ বলেন – যে কোনো নতুন প্রতিষ্ঠান শুরুর আগেই তাঁর ভিশন খুব পরিষ্কার থাকত। তিনি বিশ্বাস করতেন, যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্ম হতে হবে একটি সামাজিক ও রাষ্ট্রের সমস্যার সমাধান করতে, যেখানে শূন্যতা বিরাজ করছে। তিনি সমস্যাটিকে খুব গভীরভাবে বুঝতেন এবং তার সমাধানও সেজন্য বাস্তবমুখী হতো। পাশাপাশি তিনি অনেক বড় আকারে চিন্তা করতেন ও স্বপ্ন দেখতেন। এরপর তিনি প্রতিষ্ঠান তৈরির কাজে নেমে পড়তেন। সেক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই, প্রসেস তৈরি, মানবসম্পদের পেছনে বিনিয়োগ–এসবকেই তিনি সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দিতেন। অনেক দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করতেন এবং প্রচণ্ড সাহসী ছিলেন। সাহস আর মানুষের আস্থা নিয়ে বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নেমে পড়তেন। তাঁর কাজে ছিল শৃঙ্খলা এবং প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের প্রতি গভীর মনোযোগ। তাঁর চিন্তাভাবনার মূলে ছিল মানুষ–বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া মানুষ ও তাদের সমস্যা, যা নিয়ে তাঁর মতো হবিগঞ্জে আগে কেউ ভাবেনি।

📌 প্রত্যন্ত এলাকার থেকে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে পুরষ্কার জয়ী হবিগঞ্জ জেলা, শায়েস্তা উপজেলার, নিশাপট গ্রামের বাসিন্দা পিতাঃ মোহাম্মদ আয়াত আলী ও মাতাঃ মোছাঃ মাহম্মুদা খাতুন এর বড় ছেলে মোহাম্মদ মোশাহিদ মজুমদার।

 

📌 কোষাধ্যক্ষ – মোশাররফ আলম চৌধুরী বলেন – আজ থেকে প্রায় ৫ – ৬ বছর আগে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের বিজ্ঞান মেলায় ইনোভেশন আইডিয়া ক্যাটাগরীতে উপজেলা থেকে বিভাগীয় পর্যায় সে বিজয়ী হয়ে জাতীয় পর্যায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে। পরপর কয়েকটি বিজ্ঞান মেলায় সে অংশ গ্রহণ করে তিনি বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করেন। এসব সমস্যা গুলোকে সমাধানে গবেষণা করে ফলাফল হিসেবে আবিষ্কার করেন (উদ্ভাবনী) নামে একটি বিজ্ঞান ক্লাব।সে সব সমস্যা গুলি যদি একটু বলি তবে লক্ষ্য করা যাবে পরপর কয়েকটি মেলায় তার দল এবং স্কুল, কলেজ থেকে উপজেলা, জেলা এবং সর্বশেষ বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত যে সকল শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে ভাবতে দেখা যেতো তারা এখন আর পরবর্তী মেলায় দেখা যায় না। সে তার কারন খুজতে এসে যা পাইলেন তা হলো 👉 { বিজ্ঞান মেলা বা এই ধরনের কোন ইভেন্ট আসলেই জেলা থেকে ১০ দিন আগে উপজেলায়, উপজেলা থেকে স্কুলে নোটিশ হস্তান্তর হয় ৫ দিন আগে এবার স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের কাছে নোটিশ ঘোষণা হয় ২ দিন আগে } তার পর পরই ক্লাসে ক্লাসে ঘোষণা হলো উপজেলা পর্যায়ে বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে আগ্রহীরা নাম লেখাও দল গঠন হবে।

*হটাৎ করে বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বাদ করা।
*পূর্বে কোন রকম প্রস্তুতি থাকে না বা তাদের ধারনা দেওয়া হয় না।
*ইনোভেশন কি, কেন, কিভাবে?
*ল্যাব ব্যবহার করতে শিক্ষক মণ্ডলীর অনীহা।
*শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষা উন্নয়নে শিক্ষক মণ্ডলীর অদক্ষতা প্রমান করে।
*শিক্ষক মণ্ডলীর আন্তরাজনীতি শিক্ষার্থীদের অবস্থা খারাপ এবং অনেক সময় শিক্ষকদের পাটার বলি হয় শিক্ষার্থী বৃন্দ।
*শিক্ষকদের মধ্যে নিজে নিজে প্রমোট হওয়ার প্রতিযোগিতা চলে।
*এছাড়াও অসংখ্য সমস্যা হয়।

ইনোভেশন আইডিয়া কিভাবে তৈরি করতে হয় এসব সম্পর্কে তাদেরকে কোন প্রকার সাপোট এবং প্রশিক্ষণ থাকো না বলে এভাবেই একটা সময় অসংখ্য বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার্থীরা যারা ভবিষ্যৎতের উদ্ভাবক বা বিজ্ঞানী হতে পারতো সামান্য একটু সাপোট পেলেই। তাই বিজ্ঞান মেলার ২ দিন আগে থেকে বিজ্ঞান মেলার দুটি দিন পর পর্যন্তই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে চিন্তা বা কাজ করার সুযোগ পায়। তার পর তারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে চিন্তা বা গবেষণা করার প্লাটফর্ম না থাকায় তারা একটা সময় হারিয়ে যায়। এভাবে কতো শত প্রতিভার মৃত্যু হচ্ছে 🤔।

📌 সেই জায়গাটা হতে মোহাম্মদ মোশাহিদ মজুমদার বলেন এমন যদি হতো শিক্ষার্থীরা সারা বছর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে চিন্তা ও গবেষণার সুযোগ পাইতো। যেমন – ওয়ার্কশপ, ইভেন্ট, ও বিজ্ঞান সেমিনার, কোডিং, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর যোগ কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে পারতো তবে তারা নতুন নতুন চিন্তা করা সুযোগ পেতো পাশাপাশি নিজেদের ক্রিয়েটিভ চিন্তা দিয়ে নিজ জেলার সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে সমাধান করতে পারতো। মোহাম্মদ মোশাহিদ মজুমদার বলেন শিক্ষার্থীরা, উদ্ভাবকরা এবং প্রতিভাবান চতুর্থ শিল্পী বিপ্লবের যুদ্ধারা হারিয়ে যাচ্ছে।তারাই পারতো নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে। তাই এভাবেই বাংলাদেশ হাজারো উদ্ভাবনের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হারিয়ে যাচ্ছে । এই সব সমস্যা গুলোকে চিহ্নিত করতে এবং সমাধান করতেই আজকের উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাবের আবিষ্কার।

📌 কোষাধ্যক্ষ – মোশাররফ আলম চৌধুরী -প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ মোশাহিদ মজুমদার ক্লাসঃ নবন শ্রেণিতে পড়াশোনা কালেই সে বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তোলে- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার উন্নয়ন মূলক বিজ্ঞান সংগঠন – (উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাব) আজ তিনি ১০০% স্কলারশিপ পেয়ে ড্যাফডিল ইন্টারনেশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইনোভেশন ডিপার্টমেন্টে বর্তমানে অধ্যায়নরত আছেন।

📌 সংগঠনটির যাত্রা শুরু ০৩/০১/২০১৭ সালে তবে এটি প্রাতিষ্ঠানিক রুপা পায় ০৩/০১/২০১৯ সালে।
ক্লাবের কার্যক্রম বাস্তবায়ন এলাকা হচ্ছে – হবিগঞ্জ জেলা সকল উপজেলায় প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এবং অনলাইনে সারা বাংলাদেশ।বর্তমানে ক্লাবের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৯৫০০ (সারে নয় হাজার) ছাড়িয়েছে। এছাড়াও ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ রয়েছে। এবং ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিচালনা পর্ষদ ধারা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। সংগঠনটির ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি রয়েছে। এবং শতাধিক শাখা ক্লাব পরিচালনা হয় উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাবের মাধ্যমে।

Happy birthday our Founder and Executive Director Mr. Mushahid Mojumder, We all wish you a very happy returns on this day. Happy birthday once again dear MD Mushahid Mojumder 💗Happy Birthday to our Honourable Founder of  Udvaboni Biggan Club,Habiganj

Leave a Comment