এই পৃথিবীতে কার না স্বপ্ন আছে। স্বপ্ন তৈরি হয় মনের গভীরে। একেক জনের স্বপ্ন একেক রকম। কারো স্বপ্ন বড় হয়ে ডাক্তার হওয়া, দেশের মানুষকে সেবা দেওয়া, কারো বা স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার হয়ে নতুন নতুন স্থাপনা তৈরি করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেওয়া। কারো স্বপ্ন বিজ্ঞানী হয়ে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করে বিশ্বকে থাক লাগিয়ে দেওয়া। আবার কারো স্বপ্ন মহাকাশযানে করে মহাবিশ্বের রহস্যর উন্মোচন করা। আমারও আছে দু’চোখ ভরা অনেক স্বপ্ন। আমি স্বপ্ন দেখি বড় হয়ে একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হব। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হলে আমি দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারব। এই স্বপ্ন আমাকে দেখিয়েছেন আমার বাবা- মা।
আমি খুব সাধারণ একটা ছেলে। ছাত্র হিসেবেও খুব সাধারণ। কিন্তু আমার স্বপ্নটা মোটেই সাধারণ নয়। আমি বিজ্ঞানী হতে চাই। কেউ কেউ অবশ্য আমার এ স্বপ্ন নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করে। আবার কেউ বলে, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হলে অনেক দাম আছে। অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। বিজ্ঞানী হতে গেলে অনেক কষ্ট করতে হয়। করতে হয় অনেক গবেষণা। আবার বিজ্ঞানীর কোনো আবিষ্কার যদি মানুষের জন্য কল্যাণকর না হয়ে ক্ষতিক্ষর হয় তাহলে তো তা জীবনের হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ইত্যাদি ইত্যাদি। আচ্ছা, একটা মানুষ বিজ্ঞানী হবে, সে মানুষের কল্যাণের জন্য কিছু আবিষ্কার করবে—এটা তার স্বপ্ন হতেই পারে। তা নিয়ে এত বলে বেড়ানোর কী আছে? সবাই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়, হোক। আমি বিজ্ঞানীই হব। আজ থেকে বহু বছর পর আমি বিশ্বের নামকরা একজন বিজ্ঞানী, কত কিছু আবিষ্কার করেছি। বিষয়টা ভাবতেই অনেক ভালো লাগে। কিন্তু তার জন্য পাড়ি দিতে হবে অনেক দীর্ঘ পথ। অনেক কাজ করতে হবে আমাকে। যা আমি এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছি। বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন বই পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। আমার শিক্ষকগণ এ ব্যাপারে আমাকে উৎসাহ দেন। আমি এখন এইচ এস সি শ্রেণিতে পড়ি। পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করব। এই স্বপ্ন পূরণের জন্য আমার মা-বাবা সবসময়ই আমার পাশে আছেন।
আমি এমন একটা পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি যেখানে মানুষ খুব সুন্দর, সমৃদ্ধ এবং সুখী জীবন যাপন করবে। মানুষের মন হবে আরো উন্নত। দুঃখ-দুর্দশা পুরোপুরি কমে যাবে। আর এটা বিজ্ঞানের দ্বারাই সম্ভব।
” বিজ্ঞান নয় ভয়, বিশ্ব করব জয় “
টিভিতে যখন বিবিসি বা সিএনএন ইত্যাদি চ্যানেলে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যেমন—লন্ডন, ফ্রান্স, আমেরিকা সম্পর্কে জানতে পারি তখন আমাদেরও স্বপ্ন থাকে যদি আমাদের বাংলাদেশটাও এমন হতো। আমাদের দেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অতুলনীয় আর প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। প্রকৃতির দেওয়া দানগুলোকে যদি আমাদের দেশে যথাযথভাবে ব্যবহার করা হতো তাহলে আমাদের দেশও উন্নত দেশে পরিণত হতো। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সহজ হতো। আমার কাছে ব্যাটম্যান, সুপারম্যান, অ্যাকশন হিরো হলো আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধারা যে দেশ গড়তে প্রাণ দিয়েছেন, আমি সে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখব। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন আমি পূরণ করতে চাই। যেই মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন, আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি, করছি অনেক চিন্তা, গবেষণা, পড়াশোনা ও নিজ আবিষ্কিত উদ্ভাবনীকে নিয়ে।
স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমি আমার আইডিয়া বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।আজ এটি আমার স্বপ্ন শুধু নয় এটি এখন আমাদের হাজারো খুদে বিজ্ঞানীর স্বপ্ন।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের এ স্বপ্ন একদিন পূরণ হবেই।
এরইমধ্যে আমি০৩-০১-২০১৭ইং একটি বিজ্ঞান ক্লাব প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলাম । আজ পর্যন্ত ৫ ম বছর চলছে। এটি প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ২০১৯ সালে রুপ নেয়। আমি ও আমরা বিশ্বাস করি—একদিন আমাদের উদ্ভাবনী সফল হব “বিশ্ব করবে জয়” ।
প্রতিষ্ঠানেটি
একটি অলাভজনক ও অরাজনৈতিক বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠান।
আমাদের লক্ষ্যঃ
শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনস্ক করে উদ্ভাবক হিসেবে গড়ে তোলা।
শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনস্ক করে সৃজনশীল বিজ্ঞান মনস্ক জাতি নিশ্চিত করা।
স্বপ্নটা দেখা আসলে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের ৩৮ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে বিজ্ঞান সপ্তাহে অংশগ্রহণ করা থেকেই আমার মাঝে এই সমস্যা / আইডিয়াটি আসে। 🇧🇩🤔এই স্বপ্ন ৩৮ তম থেকে বুনতে বুনতে ২০২১ সাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসন হবিগঞ্জ ও জেলা শিক্ষা অফিস থেকে নানামুখী সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণায় ভবিষ্যতের দুর্বার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য নানা ধরনের ওয়ার্কশপ বাস্তবায়নের আমাদের উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাবের উপদেষ্টাদের পরামর্শে আমি আমাদের ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ নিয়ে হবিগঞ্জ জেলাকে বিজ্ঞান মনস্ক জেলার -পাশাপাশি বিজ্ঞান মনস্ক জাতি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন যাচ্ছি…..
বর্তমানে যারা প্রাথমিক – মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ে ২০৪১ সালে তারাই বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন খাতে নেতৃত্ব দিবে। আজকের শিশু প্রজন্মকে আমরা যেভাবে গড়ে তুলবো, ২০৪১ সালে জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ সেভাবেই গড়ে উঠবে। আমরা অনুকরণ করে নয়, উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বড় করতে চাই।
নতুন ভবিষ্যৎমুখী প্রযুক্তি সম্পর্কে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ‘উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাব ‘ ২০১৭ থেকে বর্তমান পর্যন্ত শিক্ষার্থীদেরও শিকক্ষদের নিয়ে কাজ করছে.. যেটি হবে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ ” চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ভবিষ্যৎ নেতা তৈরি করার জন্য একটি বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠান।
🇧🇩 আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা 🇧🇩
আমরা চাইছি বাংলাদেশে নতুন নতুন চিন্তা করার সংস্কৃতি তৈরি হোক। নতুন নতুন উদ্ভাবন বের হয়ে আসুক। কেননা, উদ্ভাবনী চিন্তা ও কাজের সমন্বয় হলেই কেবল যেকোনো কাজের সফলতা আসে।
আমাদের মূল পরিকল্পনা হলো সারা বাংলাদেশে তরুণদের মাঝে উদ্ভাবনী চিন্তার বার্তা ছড়িয়ে দেয়া। প্রতিটি ভালো কাজের পেছনে ইনোভেশন জড়িত। আমাদের তরুণদের একটা ইনোভেশন যদি ক্লিক করে তবে আমাদের দেশ হয়তো সেটাতেই সুনাম অর্জন করতে পারে। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইনোভেশন কালচার ছড়িয়ে দিতে পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের সঙ্গে এখন যে তরুণরা কাজ করছে তারাই পরবর্তী সময়ে মেন্টর হচ্ছে। এই মেন্টররা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে তরুণদের উদ্ভাবনী আইডিয়া জাগ্রত করতে কাজ করবে। বিজ্ঞানী হিসেবে গড়ে উঠবেই ইনশাআল্লাহ।
একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদগুলোর মধ্যে মানবসম্পদ অন্যতম। … অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত, টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি করার ক্ষেত্রে দক্ষ মানবসম্পদের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানুষের জন্যই উন্নয়ন এবং মানুষই উন্নয়নের অপরিহার্য নিয়ামক। তাই আমি উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠা সময় কাল থেকেই সকলের অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে শক্তি যুগিয়েছে, আপনাদের দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করছি।
আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
মোহাম্মদ মোশাহিদ মজুমদার
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক
উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাব,হবিগঞ্জ।