“প্লেন আবিষ্কারক তরুণ বিজ্ঞানী” প্রসংগেঃ
যত নিখুতভাবে তৈরি করেছে প্লেন এবং ড্রোন, তাতে অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য বাশখালির প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুণ। তবে চায়না থেকে কিট এনে আরসি প্লেন বা ড্রোন এসেম্বল করাকে আবিষ্কার বলা যায়না, আর তাকে বিজ্ঞানিও বলা যায় না। এসব শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু সচেতন হওয়া দরকার। বিজ্ঞানি, উদ্ভাবন, আবিষ্কার এগুলো অনেক বড় শব্দ। বছরের পর বছর ফর্মুলা ডেভেলপ করা, থিওরিকে রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টে মাধ্যমে প্রয়োগিক ব্যবহারে কাজে লাগানো, এভাবেই উদ্ভাবন বা আবিষ্কার হয়। এসেমব্লিং, রিপ্লিকেশন, আর উদ্ভাবন বা আবিষ্কার আকাশ পাতাল ব্যবধান। শব্দগুলোর ভুল ব্যবহারে আসল উদ্ভাবকদের মধ্যে হতাশা আর হাস্যরসের তৈরি হয়।
দেশে আসলেই অনেক তরুণ উদ্ভাবক আছে, উদ্ভাবন হচ্ছে যা আকাশ কুসুম স্বপ্ন নয় বরং বাস্তবে মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনছে। সেসব উদ্ভাবন নিয়ে মিডিয়া আরও সচেতনভাবে প্রচার করা উচিত।
কেউ যদি একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারকে পিএইচডি হোল্ডার হিসেবে পরিচয় করায় তবে মানুষ হাসবেনা?
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দিলে সবাই সেটা সুন্দরভাবেই গ্রহণ করবে।
তেমনিভাবে এখানে সে বেশ দক্ষতা আর জ্ঞানের পরিচয় দিয়েছে, তাকে প্রোডাক্ট ডিজাইনার বলা যায়, বিজ্ঞানি বললে তো সবাই হাসবে। বিজ্ঞানি মানে তার নিজস্ব মৌলিক আবিষ্কার থাকবে, সে কোন থিওরির ব্র্যাকথ্রু আনবে। বাংলাদেশে হাতে গোনা ক’জন বিজ্ঞানি আছে।